অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতেও সম্মত হয়েছে দু দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি এবং জলবায়ু বিষয়ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরির মধ্যে এক বৈঠকে তারা এই বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
দু দেশের দুই বিশেষ দূত জাতিসংঘর জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপসহ দ্বিপাক্ষিক এবং বৈশ্বিক জলবায়ু প্ল্যাটফর্মে বৃহত্তর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের বিশেষ দূত সাবের চৌধুরী জলবায়ু ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ও নেতৃত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু প্রতিশ্রুতিসমূহের বাস্তবায়নে ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
তিনি ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া জলবায়ু বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে কেরিকে অবহিত করেন।
মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সাথে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করছে।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে কেরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে তার জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করার বিষয়ে অংশীদার হতে ইচ্ছুক।
দুদেশের বিশেষ দূত আসন্ন জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৮ সফল করার লক্ষ্যে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে জোরদারের মাধ্যমে ঐকমত্য গড়ে তোলা এবং বৈশ্বিক সংহতির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীতার ওপর জোর দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সাবের হোসেন চৌধুরী ওয়াশিংটনে সিনেট হার্ট বিল্ডিংয়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ক্রম হ্রাসকরণে অর্থায়ন এবং অগ্রগতি সম্পর্কিত বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই সংক্রান্ত কমিটি সভায় সভাপতিত্ব করেন।
মার্কিন সিনেটর এড মার্কি ও কানাডিয়ান সিনেটর মিজ রোজা গালভেজসহ উরুগুয়ে, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, জাম্বিয়া এবং উগান্ডার নেতৃস্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ উক্ত সভায় অংশ নেন।
Leave a Reply